আড়ংয়ের চেঞ্জরুমে তের নারীর পোশাক পরিবর্তনের ১২০ ভিডিও উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
আড়ংয়ের নারীকর্মীদের চেঞ্জরুম থেকে ১৩ নারীর ১২০টি ভিডিও করেছিল সজীব। পরে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের কাছে সেই ভিডিও পাঠাতো। কখনো অর্থ আবার কখনো বিকৃত চাহিদার কথা জানাতো তাদের।
অবশেষে এক বিক্রয়কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ সিরাজুল ইসলাম সজীবকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এসআই ফারুক হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, আড়ংয়ের একজন অফিসার আমাদের কাছে এসেছিল। তাদের দেয়া তথ্যমতেই আমরা সজীবকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করি। সজীবকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আড়ংয়ের বনানী শাখায় কর্মরত এক নারী ১৬ জানুয়ারি একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, ১১ জানুয়ারি রাত ১২টায় সজীব তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে সীমান্ত সৈকত নামে আরেকটি ফেসবুক আইডি থেকে পাঠানো একটি ভিডিও দেখতে বলে।
তিনি ভিডিওতে দেখেন, আড়ংয়ের বনানী শাখার চতুর্থ তলার কর্মচারীদের জন্য পোশাক পরিবর্তন রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় তার ভিডিও ধারণ করে পাঠিয়েছে। এসময় সজীব তাকে ভিডিও করে শরীর দেখাতে বলে এবং তার কথা মতো কাজ না করলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
ওই নারী বিষয়টি উল্লেখ করে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শনিবার দুপুরে কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়ার মনিপুর স্কুলের সামনে থেকে সজীবকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া সজীব আড়ংয়ের বনানী শাখার সাবেক কর্মী। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদে। ১০৯৮ নম্বর পূর্ব শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় সে থাকতো। তার কাছ থেকে একটি রেডমি ৫ প্লাস ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আড়ংয়ের ওই নারীকর্মীর ভিডিও করা এবং হুমকি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানিয়েছে, সে আড়ংয়ে চাকরি করতো। চাকরিরত অবস্থায় সে চতুর্থ তলার কর্মচারী চেঞ্জরুমের বাইরের সানসেট-এ দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে আড়ংয়ের নারী কর্মচারীদের অজান্তে তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার সময় ভিডিও ধারণ করতো। তার কাছ থেকে ১৩ জন নারীকর্মীর ১২০টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক নারীকর্মীর ভিডিও করার অভিযোগে ডিসেম্বর মাসে সজীবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে তার কাছে আগের করা সব ভিডিওগুলো সংরক্ষিত ছিল। তাকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। তার কাছ থেকে আরো তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার আশরাফুল আলম জানান, আড়ং যৌন হয়রানিমূলক যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নীতিগতভাবে সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত আড়ং সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে কঠোর হস্তে দমনের জন্য তখনই পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বনানী আউটলেটের সাবেক বিক্রয় প্রতিনিধি সজীবের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একজন সহকর্মীর যৌন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় চাকরিচ্যুত করা হয়। এখন চলমান মামলাটির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ.কম
নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড
- ‘ক্যাসিনো, জুয়া ও অশ্লীলতার নিয়ন্ত্রক সম্রাট’: খালেদ
- র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়ার নয়া পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার
- বার্ন ইউনিটের স্বেচ্ছাশ্রমী ৬৮ কর্মচরীর যন্ত্রণা কে অনুভব করবেন!
- ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২০’ শুরু আজ
- ২১ দিনের লকডাউনে ওয়ারীর একাংশ
- ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতির ছেলে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
- হাতির ঝিলের পানিতে লাশ
- লাইভ ভিডিওতে কোরবানি, মাংস হোম ডেলিভারি দেবে ডিএনসিসি
- বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার, অভিযান সমাপ্ত
- ওয়াসা এমডি তাকসিমের জন্য জুরাইন থেকে এলো ‘শরবত-এ-কালাপানি’
- রাজধানীর মিরপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুর মৃত্যু
- বিমানবন্দরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক উপজেলা চেয়ারম্যান
- ডিএনসিসির ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প
- রাজধানীতে জঙ্গি সংগঠনের আমীরসহ গ্রেফতার চার
- অস্ত্রসহ আটক যুবলীগ নেতা খালেদ: এত কিছু ছিল তার নিয়ন্ত্রণে!